নাড়ীর টান
নাড়ীর টান
[মোহাম্মদ জহির উদ্দিন স্কুল নং ২৩৯০; ব্যাচ ১৯৮৫]
সূর্য যখন দেয় কিরণ, আঁধার কাটে প্রাতে,
চাঁদের আলোয় জোছনা বিলাস
ভালো লাগে তাতে।
জোনাক জ্বলে ঝোঁপের ধারে ঝিঁঝিঁ পোকা শাঁখে,
মধ্যরাতের পালা গান উদাস সুরে ডাকে।
সকাল হলে পাখীর ডাকে উঠানে এসে দাঁড়াই,
সর্ষে ফুলের গন্ধ মেখে মনের সুখে বেড়াই।
শীতল মাটির নিবিড় ছোঁয়া লতাপাতায় ঘেরা,
সারাটা দিন ঘুরে বেড়াই সন্ধ্যাবেলায় ফেরা।
পুকুর পাড়ে নদীর ধারে শাপলা শালুক দোলে,
নৌকা দিয়ে ঘুরে বেড়াই স্রোতের তালে তালে।
মাঠের ধারে সবুজ পাহাড় মেঘের দেশের কাছে,
মেঘের সাথে খেলে বেড়াই মনটা শুধুই নাচে।
পাড়ায় পাড়ায় ছুটাছুটি গজিয়ে পাখীর ডানা,
দখিন হাওয়ার পরশ লাগে মানেনা কোন মানা।
মাঠ পেরিয়ে কাশবনে লুকোচুরি খেলা,
দল বেঁধে হাটে যাই, কিনি পুঁতির মালা।
ধানের ক্ষেতে ঢেউ খেলানো প্রিয় জন্মভূমি,
বেঁচে থাকার প্রেরণা জাগাও স্বপ্ন দেখাও তুমি।
এই তো আমার দেশরে আহা! মমতায় মাখা,
শ্যামল মাটির মায়ের ছোঁয়া ছায়ায় ছায়ায় থাকা।
সবাই মিলে এই মাটিতে সুখে দুঃখে থাকি,
বছর শেষে আসবো আবার স্বপ্ন ধরে রাখি।।